বড়শিতে ধরা পড়ল ১০০ কেজি ওজনের শুশুক, ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি

টাঙ্গাইলের ধলেশ্বরী নদী থেকে বড়শিতে ধরা পড়েছে একশ কেজি ওজনের বিরল প্রজাতির একটি সামুদ্রিক শুশুক। সমুদ্রের দুর্লভ শুশুক নদীতে ভেসে এসে বড়শিতে ধরা পড়েছে এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে শুশুকটিকে একনজর দেখতে শত শত উৎসক মানুষ ভিড় জমায়। পরে শুশুকটিকে স্থানীয় বাজারে ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়।

রোববার ভোরে নাগরপুর উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের জাঙ্গালিয়া ধলেশ্বরী নদীতে সেন্টু নামের এক যুবকের বড়শিতে শুশুকটি ধরা পড়ে। সেন্টু উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের চরডাঙ্গা গ্রামের আমজাদ আলী।

এলাকাবাসী জানায়, শনিবার রাতে বোয়াল মাছের বড়শি (জিয়ালা বড়শি) নদীতে ফেলে আসে সেন্টু। বড়শি ফেলার পর ছোট একটি বোয়াল মাছ বরশিতে আটকে যায়। ওই যুবক মাছটি খুলে আনার জন্য যায়। এসময় আকস্মিকভাবে বিশাল আকৃতির একটি শুশুক বড়শিতে থাকা বোয়াল মাছটিকে গিলতে গিয়ে আটকে যায়। এরপর সেন্টু শুশুকটি দেখে ভয় পেয়ে চিৎকার করতে থাকে।

এসময় তার চিৎকার শুনে নদী পাড়ের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। স্থানীয় জনতার সহায়তায় শুশুকটি ডাঙায় তুলে আনা হয়। এরপর শুশুকটি স্থানীয় জাঙ্গালীয়া বাজারে নেওয়া হয়। মুহুর্তের মধ্যে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের শত শত মানুষ মাছটি দেখতে সেখানে ভিড় জমায়।

সেন্টু বলেন, শুশুকটির ওজন আনুমানিক ১০০ কেজি হবে। ভোরে জাঙ্গালীয়া বাজারে নেয়া হলে স্থানীয় কয়েকজন ১৫ হাজার টাকায় এটিকে কিনে নেন। শুশুকের ক্রেতা ইসমাইল মিয়া জানান, শুশুকটিকে ১৫ হাজার টাকায় কেনা হয়। পরে আমরা কয়েকজন মিলে এটিকে কেটে ভাগ করে নিয়েছি।

এ ব্যাপারে নাগরপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মাছুম বিল্লা জানান, এই প্রজাতির শুশুক বিলুপ্তির পথে। এটি সংরক্ষিত প্রাণী। সংবাদ পেয়ে আমরা বাজারে যাই। তবে তার আগেই স্থানীয়রা সেটি কিনে ভাগাভাগি করে নিয়ে যান।

তিনি আরও জানান, যদি শুশুকটি জীবিত থাকতো তাহলে আমরা এটি উদ্ধার করে অবমুক্ত করতাম। এটি মারা, ধরা ও খাওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ। এই ধরণের মাছ শিকার থেকে বিরত থাকতে আমরা স্থানীয়দের সতর্ক করেছি।